আজ মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শাহপরীরদ্বীপ থেকে আরও ১৭ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার।

টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে আরও ১৭ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে শাহপরীরদ্বীপ বড় খাল পয়েন্ট থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

১৭ মৃতদেহ সাতজন নারী ও ১০ জন শিশুর বলে জানিয়েছে বিজিবি। ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে ও রাতে শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্টে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যায় ছয় রোহিঙ্গা নারী ও শিশু। এর ফলে গত দুই দিনে উদ্ধার লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩টিতে।

সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতরাতে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকালে স্থানীয়রা শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম সৈকত থেকে এদের লাশ উদ্ধার করে। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে রোহিঙ্গারা ছিল। তবে অন্য রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে- তা বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল শাহপরীর দ্বীপ সৈকত এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দীন খান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গরপাড়া এলাকার শুক্কুরের মালিকানাধীন। এ ধরনের অনেকে অর্থের লোভে রোহিঙ্গা পাচারে মেতে উঠেছে। পাচারকারীরা অর্থের লোভ দিয়ে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে ব্যবহার করছে।

শাহপরীরদ্বীপের পাচার চক্র সাগরে মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে রাতের আঁধারে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ১৫-২০টি নৌকা মাছ ধরার কথা বলে রোহিঙ্গা আনতে সাগরে পাড়ি জমায়। এসব নৌকা রোহিঙ্গা বোঝাই করে আসার পথে সাগরের কূলে ভেড়ানোর সময় ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন। তবে পাচারকারীরা কারা, এদের খোজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানায় এলাকাবাসী।

অপরদিকে, গতরাত ও ভোরে শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এক হাজারের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার বিজিবির হেফাজতে থাকা ৩১৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ১৯০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা লে. কর্ণেল আরিফুল ইসলাম । তিনি বলেন, শুধু শাহপরীরদ্বীপের কয়েন্ট পয়েন্ট দিয়ে রাতে এক হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ করেছে। এসব রোহিঙ্গারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ